রিউমেটিক হার্ট ডিজিজ

সারাংশ

রিউমেটিক হার্ট ডিজিজ (আরএইচডি) একটা হার্টের রোগ যার ফলে হার্টের ভাল্ভের অপরিবর্তনীয়ভাবে ক্ষতি এবং হার্ট ফেলিওর বা হৃদস্পন্দন বন্ধ হওয়া, সাথে, অঙ্গ বিকল হয়ে যাওয়া ও স্ট্রেপ্টোকক্কাল প্রকারের গলার সংক্রমণ ঘটে। তীব্র রিউমেটিক জ্বর (এআরএফ) এই রোগের পূর্বাভাস দেয়।

উপসর্গ

● জ্বর
● ফোলাভাব (ইডিমা)
● শায়িত অবস্থায় শ্বাসকষ্ট দেখা দেয় (অর্থাপনিয়া)
● পরিশ্রম করলে শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়
● বুকের ছাতিতে ব্যথা বা বুক ধড়ফড় করা
● ঘুমন্ত অবস্থায় উত্তেজনা বোধ করে উঠে বসা বা দাঁড়ানোর ইচ্ছা অনুভুত হওয়া (প্যারোক্সিস্মাল নক্টারনাল ডিস্পোনিয়া)
● সংজ্ঞানাশ (সিন্কোপ)
● হার্টে কলকল ধ্বনি
● স্ট্রোক

চিকিৎসা

চিকিৎসক উপসর্গগুলির বিশদ ইতিহাস এবং চিকিৎসাগত ইতিহাস (অতীতে এআরএফ বা স্ট্রেপ্টোকক্কাল সংক্রমণের ইতিহাস) জানতে চান সাথে সম্পূর্ন শারী্রিক পরীক্ষা করেন। কখনও কখনও, এই পরীক্ষার সময় হার্টে কলকল ধ্বনি শোনা যায়, যাতে আরএইচডি ধরা পড়ে। তবে, কোনো কোনো আরএইচডি রোগীর ক্ষেত্রে, হার্টে কলকল ধ্বনি শোনা নাও যেতে পারে। চিকিৎসক এরপর নিচে উল্লেখিত পরীক্ষাগুলো করাতে পরামর্শ দেন :

● ছাতির এক্স-রে- হার্ট বৃদ্ধি পাওয়া বা ফুসফুসে তরল পদার্থের উপস্থিতি জানার জন্য করা হয়
● ইলেক্ট্রোকার্ডিওগ্রাম (ইসিজি) - হার্টের প্রকোষ্ঠ বৃদ্ধি পাওয়া বা হৃদস্পন্দনে অস্বাভাবিকতা (অ্যারিথমিয়া)
● ইকোকার্ডিওগ্রাম- হার্টের ভাল্ভের পরীক্ষা ( কোনো হানি বা সংক্রমণ আছে কিনা তা জানার জন্য)

আরএইচডির চিকিৎসা নির্ভর করে রোগের তীব্রতার উপর এবং এই উপায়গুলো নিচে বলা হল :

● হার্ট ফেলিওরের ক্ষেত্রে, চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করা আবশ্যক
● সংক্রমণের জন্য, সাধারনত হার্ট ভাল্ভ পরীক্ষা করা হয়, অ্যান্টিবায়োটিকও (প্রধানত পেনিসিলিন) দেওয়া হয়
● স্ট্রোক আটকানোর জন্য বা ভাল্ভের পরিবর্তনের জন্য রক্ত পাতলা করা দরকার হয় তখন, রক্ত পাতলা করার ওষুধ দেওয়া হয়
● বন্ধ ভাল্ভ খোলার জন্য, বেলুনের সাহায্যে অস্ত্রোপচারের দরকার পড়ে যেখানে শিরার মাধ্যমে বেলুন ঢোকানো হয়
● ক্ষতিগ্রস্ত হার্ট ভাল্ভের মেরামত বা পরিবর্তনের জন্য , হার্ট ভাল্ভের অপারেশন করা দরকার হতে পারে

লাইফস্টাইল ম্যানেজমেন্ট

● ধূমপান ও মদ্যপান বর্জন করুন
● কম ফ্যাট যুক্ত খাবার খান
● প্রতিদিন অন্তত 30 মিনিট হাটুন
● ডাক্তারের নির্দেশ মেনে ওষুধ খান

বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক