নিউমোকক্কাল রোগ

সারাংশ

নিউমোকক্কাল রোগ হল এমন একটা রোগ, যা নিউমোকক্কাস নামক ব্যাক্টেরিয়ামের কারণে হয়। এটি বিভিন্ন রকমভাবে দেখা দিতে পারে, কিন্তু এটা সারিয়ে তোলা যায় এবং 90%-এরও অধিক ক্ষেত্রে মারাত্মক নয়। এই রোগের মূল ধরণের মধ্যে রয়েছে নন-ইনভেসিভ এবং ইনভেসিভ নিউমোকক্কাল রোগ। এই রোগের বিভিন্ন ধরনের বিরুদ্ধে মূলত নিয়মিত টীকাকরণের মাধ্যমে রোগ প্রতিরোধ করা যেতে পারে করে।

উপসর্গ

● কানের সংক্রমণ
● ব্রঙ্কাইটিস এবং সাইনাসাইটিসের মতো শ্বাসযন্ত্রের সমস্যা
● কাঁপুনি এবং জ্বর
● বুকে ব্যথা
● ঘাড়ে শক্তভাব
● বিভ্রান্তিবোধ
● আলোর প্রতি সংবেদনশীলতা
● গা ঘামা
● হৃদস্পন্দনের মাত্রা বৃদ্ধি

চিকিৎসা

নিউমোকক্কাল ব্যাক্ট্রিয়াম এবং মানব শরীরে এর বিস্তার এই রোগের প্রধান কারণ। ব্যাক্টেরিয়া হাওয়ার মাধ্যমে ছড়ায় এবং শরীরে নাক বা মুখ দিয়ে প্রবেশ করে আর তারপর গলা দিয়ে ফুসফুস, কান অথবা এমনকি মস্তিষ্ক সহ শরীরের বিভিন্ন অংশে চলে যায়। যখন কোনও ব্যক্তির দেহের রোগপ্রতিরোধক ব্যবস্থা দুর্বল হয়, এই ব্যাক্টেরিয়া বিভিন্ন অবস্থা এবং তার সঙ্গে যুক্ত লক্ষণের কারণ হতে পারে।

রোগ নির্ণয় সাধারণত শারীরিক পরীক্ষা দিয়ে শুরু হয়, তা থেকে সংক্রমণ সম্বন্ধে চিকিৎসকের কাছে স্পষ্ট ধারণা আসা উচিত। সমস্যা গুরুতর হলে, ডাক্তার আপনাকে কিছু পরীক্ষা করানোর পরামর্শ দেবেন, যাতে ফুুসফুস, গাঁট অথবা হাড় থেকে তরল সংগ্রহ এবং বুকের এক্স-রে করা হয়।

নিউমোকক্কাল রোগের হাত থেকে বাঁচার সবেচেয় সাধারণ পদ্ধতি হলো টীকাকরণ। যেসব ঘটনায় রোগী থেকে আগে থেকেই আক্রান্ত, সেখানে রোগের উপসর্গকে কেন্দ্র করে প্রাথমিক চিকিৎসা পদ্ধতি আবর্তিত হয়।

রোগ কি রকম আকার নিয়েছে এবং শরীরে ছড়িয়ে পড়েছে, তার উপর নির্ভর করে চিকিৎসা পদ্ধতি ভিন্ন হতে পারে। সংক্রমণের কিছু মৃদু ঘটনার ক্ষেত্রে, ওষুধ ছাড়াই সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি আপনা থেকেই অথবা অ্যান্টিবায়োটিকের সামান্য মাত্রাতেই ঠিক হয়ে যান। তবে, ইনভেসিভ নিউমোকক্কাল রোগের জন্য ভারি মাত্রার ওষুধ দেওয়ার প্রয়োজন হতে পারে। কিছু গুরুতর ঘটনারক্ষেত্রে, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে হয়ত হাসপাতালে ভর্তি করতে হতে পারে।