গাউট

সারাংশ

যেসমস্ত ব্যক্তির রক্তে উচ্চ মাত্রায় ইউরিক অ্যাসিড থাকে তাদের প্রদাহজনক আর্থ্রাইটিসের বিকাশ ঘটে, যা গাউট নামে পরিচিত। এটি ঘন ঘন তীব্র জয়েন্টে ব্যথা, স্ফীত হওয়া, এবং লালচেভাবের দ্বারা চিহ্নিত করা যায়, যা আকস্মিক এবং রাতারাতি বিকাশ ঘটতে পারে। ইউরিক অ্যাসিড জমে যাওয়ার ফলে জয়েন্টে ছুঁচের মত স্ফটিক গঠন হয়, যার কারণে আকস্মিক ব্যথা হয়। এটি সাধারণত পায়ের বুড়ো আঙ্গুলের জয়েন্টকে আক্রান্ত করে।

উপসর্গ

● জয়েন্টে (বিশেষত হাঁটু, পায়ের আঙ্গুল, কনুই এবং হাতের আঙ্গুল) গুরুতর এবং আকস্মিক ব্যথা
● প্রভাবিত অংশের উপর গরম ত্বক ফোলা এবং লাল হওয়া
● জ্বর এবং কাঁপুনি

চিকিৎসা

গাউট সাধারণত নিম্নলিখিত কারণগুলির জন্য হয় :
● আপনার রক্ত প্রবাহে ইউরিক অ্যাসিড জমে যাওয়া এবং জয়েন্টে ইউরেট স্ফটিকের গঠন হওয়া।
● জিনগত এবং পরিবেশগত বিষয়গুলির সমন্বয়।
● খাদ্যে নির্দিষ্ট পিউরিনের মাত্রা।
● স্থূলতা।
● অতিরিক্ত মদ খাওয়া।
● সিউডোগাউট (বা একিউট ক্যালসিয়াম পাইরোফসফেট আর্থ্রাইটিস)।

চিকিৎসক উপসর্গগুলির বিস্তর ইতিহাস নিতে পারেন, এবং একটি শারীরিক পরীক্ষা করতে পারেন। এর নির্ণয় করাকে সাহায্য করতে কিছু নির্দিষ্ট পরীক্ষাও করা হয় :
● সিরাম ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা নির্ধারণ করার জন্য রক্ত পরীক্ষা।
● এক্স-রে।
● জয়েন্টের মধ্যে তরলে দ্রুত স্ফটিকের গঠনকে সনাক্ত করার জন্য আল্ট্রাসাউন্ড স্ক্যান।
● নরম টিস্যু বা কলা এবং হাড়ের পরীক্ষা করার জন্য কম্পিউটেড টোমোগ্রাফি (সিটি/CT) বা ম্যাগনেটিক রেসোনেন্স ইমেজিং (এমআরআই/MRI)।

গাউটের চিকিৎসা নিম্নলিখিত পদ্ধতিগুলির মাধ্যমে হয় :
প্রসারণের কারণে হওয়া ব্যথার পরিচালনা
প্রসারণের চিকিৎসা করার জন্য ননস্টেরয়েডাল এন্টি-ইনফ্লেমেটরি ড্রাগস (এনএসএআইডিস/NSAIDs) ব্যবহার করা হয়, যার মধ্যে রয়েছে ইবুপ্রোফেন, স্টেরয়েড, এবং এন্টি-ইনফ্লেমেটরি ড্রাগ কোল্চিসিন।

ভবিষ্যতের প্রসারণগুলিকে নিম্নলিখিত পদ্ধতিতে প্রতিরোধ করা হয় :
● খাদ্য এবং জীবনধারায় পরিবর্তন করে
● অতিরিক্ত ওজন কমিয়ে
● মদ্যপান এড়িয়ে চলে
● পিউরিন সমৃদ্ধ খাবার (লাল মাংস যেমন গরু, ভেড়া, ছাগলের মাংস বা অর্গ্যান মাংস) এড়িয়ে চলে
● হাইপারইউরিসেমিয়ার সঙ্গে যুক্ত ওষুধগুলি পরিবর্তন করে অথবা বন্ধ করে (যেমন, ডিউরেটিক)

ইউরিক অ্যাসিড কমানোর এজেন্টের ব্যবহার
● অ্যালোপিউরিনল
● ফেবুক্সস্ট্যাট
● পেগলোটিকেস

স্ব-পরিচালনার কৌশল
● স্বাস্থ্যকর খাদ্য খেয়ে
● পর্যাপ্ত মাত্রায় শারীরিক কার্যকলাপ করে

লাইফস্টাইল ম্যানেজমেন্ট

● খাদ্য এবং জীবনধারায় পরিবর্তন আনুন
● অতিরিক্ত ওজন কমিয়ে আনুন
● মদ্যপান এড়িয়ে চলুন
● পিউরিন সমৃদ্ধ খাবার (লাল মাংস যেমন গরু, ভেড়া, ছাগলের মাংস বা অর্গ্যান মাংস) এড়িয়ে চলুন
● স্বাস্থ্যকর খাদ্য খান
● পর্যাপ্ত মাত্রায় শারীরিক কাজ করুন

বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক