ফাইব্রোমায়ালজিয়া

সারাংশ

ফাইব্রোমায়ালজিয়া একটি যন্ত্রণাদায়ক অবস্থা, যার ফলে শরীরের সমস্ত পেশী আক্রান্ত হয়। যাঁদের এই রোগ নেই তাঁদের তুলনায় যেসব ব্যক্তি এই রোগে আক্রান্ত, তাঁরা সাধারণত যন্ত্রণার প্রতি বেশি সংবেদনশীল হন। ভারতের জনসংখ্যার 0.5 থেকে 2 শতাংশ মানুষ এই রোগে আক্রান্ত। এটি মহিলাদের মধ্যেই সাধারণত লক্ষ্য করা যায়; পুরুষদের তুলনায় প্রায় 3-7 গুন্ বেশি।

উপসর্গ

● যন্ত্রণা, সারা শরীরে ব্যথাভাব এবং শরীর আড়ষ্ঠ বোধ, বিশেষত নির্দিষ্ট কিছু জায়গাতে
● আলস্য ভাব
● ভালো করে ঘুমোতে না পারা
● প্রচণ্ড মাথাব্যথা বা যন্ত্রণা
● প্রচণ্ড মাসিকের ব্যথা
● হাত পা অসাড় হয়ে যাওয়া এবং ঝিঁঝিঁ ভাব
● স্মৃতিশক্তির সমস্যা
● বিষন্ন বোধ করা বা ডিপ্রেশনে চলে যাওয়া

চিকিৎসা

পুরুষদের তুলনায় মহিলারাই সবচেয়ে বেশি এই অবস্থার সম্মুখীন হন। এই অবস্থাটির সঠিক কারণ এখনও জানা যায়নি, যদিও বলা হয় যে জিগনগত কারণে এই রোগটি হতে পারে। আক্রান্ত ব্যক্তি অন্যদের তুলনায় বেশি এবং দ্রুত যন্ত্রণার প্রতি সংবেদনশীল হয়ে পড়তে পারেন।

এই অবস্থার প্রধান কারণগুলি হলো:
● হরমোন পরিবর্তন
● মানসিক চাপের ভিন্ন মাত্রা
● জলবায়ু পরিবর্তন

এই রোগ নির্ণয়ের জন্য বিস্তারিত চিকিৎসায় ইতিহাসের তথ্য নেওয়া হয়, রোগীকে জিজ্ঞাসা করা হতে পারে, অবস্থা কতটা গুরুতর, যন্ত্রণার স্থানগুলি, কি থেকে হচ্ছে এবং আরও অন্যান্য ব্যাপার। উপসর্গগুলি বেশিরভাগ সময় এই অবস্থার একটি পরিষ্কার চিত্র তুলে ধরে। ল্যাবরেটরি পরীক্ষা সাধারণত দরকার হয় না ,যদি না শরীরের ব্যথা বা অলস ভাব অন্য কোনও কারণে হয়ে থাকে। এই অবস্থা বোঝার জন্য রোগীর অনেক বছর সময় লেগে যেতে পারে। ইমেজিং, বিশেষ করে এক্স-রে করা হতে পারে অন্য কোনও রোগের সম্ভাবনা এড়াতে।

সাধারণত, চিকিৎসার মধ্যে ওষুধ এবং ওষুধ ছাড়া অন্যান্য পদ্ধতির মিশ্রণ রয়েছে:
● যন্ত্রণা বা ব্যথা কমানোর ওষুধ
● পেশী শক্তির জন্য প্রতিদিন ব্যায়াম করা
● ভালোভাবে ঘুমোনোর পদ্ধতি
● যোগব্যায়াম অথবা ধ্যানের মাধ্যমে মানসিক চাপকে নিয়ন্ত্রণে রাখা
● কগনিটিভ বিহেভিয়ারাল থেরাপির মাধ্যমে বিষণ্ণতা বা উদ্বেগকে নিয়ন্ত্রণে রাখা

লাইফস্টাইল ম্যানেজমেন্ট

● নিয়মিত ব্যায়াম করুন
● নিজেকে বিভিন্ন শারীরিক কাজকর্মের মধ্যে ব্যস্ত রাখুন

বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক