ডেঙ্গু মশা-বাহিত ভাইরাল সংক্রমণের রোগ। চার রকমের ভাইরাস আছে যা এই রোগের কারণ হতে পারে। যখন কোন ব্যক্তির যে কোনও একটি ডেঙ্গু ভাইরাসের সংক্রমণ হয়, তার দেহে সারা জীবনের জন্য ওই ভাইরাসের বিরুদ্ধে সুরক্ষা কবচ তৈরি হয়ে যায়। একই সাথে অন্য তিনটি ভাইরাসে বিরুদ্ধে আংশিক স্বল্প-মেয়াদি (প্রায় দুই বছর) প্রতিরোধ তৈরি হয়। তবে পরিশেষ চারটির মধ্যে সবগুলিই ব্যক্তিটির সংক্রমণ ঘটাতে পারে। মহামারীর সময় চার প্রকারের ভাইরাসই পাওয়া যায়।
স্ত্রী এডিস এইজিপটি মশা ডেঙ্গুর ভাইরাসকে এক ব্যক্তির দেহ থেকে অন্য ব্যক্তির দেহে সংক্রামিত করে। ডেঙ্গু আক্রান্ত ব্যক্তির রক্ত পান করে মশা সংক্রামিত হয়। ডেঙ্গুর উপসর্গগুলি হচ্ছে উচ্চ মাত্রার জ্বর, খুব মাথা ব্যথা, বমির ভাব, চোখের পিছনে ব্যথা, গাঁটে ব্যথা, অতিরিক্ত ক্লান্তি, শরীরের ব্যথা, ক্ষুধা হ্রাস, এবং ত্বকের ফুসকুড়ি। যদিও জ্বর এবং অন্যান্য উপসর্গগুলি সাধারণত এক সপ্তাহ পর্যন্ত থাকে, কিন্তু দুর্বলতা এবং ক্ষুধামান্দ্য কয়েক সপ্তাহ পর্যন্ত থাকতে পারে।
বর্তমানে ডেঙ্গু রোগের কোন নির্দিষ্ট এন্টি-ভাইরাল চিকিৎসা নেই। সাহায্যকারী তত্ত্বাবধানগুলি হল জ্বর কমানোর ওষুধ, তরল পদার্থ দেওয়া এবং সম্পূর্ণ বিশ্রামের সুপারিশ করা হয়। ডেঙ্গুর জটিলতার মধ্যে রয়েছে হেমোরেজিক জ্বর, যার চিকিৎসা না করলে রোগ বেড়ে গিয়ে ডেঙ্গু শক সিন্ড্রোমে পরিণত হবে।
● হঠাৎ খুব বেশি জ্বর হওয়া (40°C/104°F)
● তীব্র মাথা ব্যথা
● বমি বমি ভাব এবং বমি
● গাঁটে, পেশীতে এবং চোখের পিছনে ব্যথা
● দুর্বলতা
● স্বাদ পরিবর্তিত হওয়া, এবং ক্ষুধামান্দ্য (এনোরেক্সিয়া)
● গলা ভাঙা
● গ্রন্থি এবং লিম্ফ নোড ফুলে যাওয়া
● ফুসকুড়ি হলে প্রথমে ত্বক লালচে হয়ে যায় এবং এক বা দুই দিনের মধ্যে হালকা ছোট ম্যাকুলার গোটা দেখা যায়। তৃতীয় থেকে পঞ্চম দিন থেকে দেখা যায় ছোট লাল ফুসকুড়িগুলি, যেগুলি ছোট কনফ্লুয়েন্ট বাম্পস দিয়ে ঢাকা থাকে এবং চাপ দিলে পাণ্ডুবর্ণ হয়ে যায়। সাধারণত এইগুলি শরীরের ঊর্ধ্বাংশে হয় আর তারপর অন্যান্য জায়গায় ছড়িয়ে পড়ে। শুধু হাতের তালু আর পায়ের তালুতে এইগুলি হয় না। ফুসকুড়ি শুরু হওয়ার সাথে শরীরের তাপমাত্রা কমতে থাকে। ফুসকুড়িগুলি খোসার মত খসে পড়ে অথবা ছোট লাল গোল বিন্দু হয়ে যায় (রক্তক্ষরণের কারণে), যেগুলিকে বলা হয় প্যটিচিয়াই
● গুরুতর পেট ব্যথা
● ক্লান্তি
● অস্থিরতা
● ডেঙ্গু শক সিন্ড্রোম
এখনও পর্যন্ত ডেঙ্গুর কোন এন্টি-ভাইরাল চিকিৎসা নেই। রোগটির নিজেরই একটি সময় সীমা রয়েছে, অর্থাৎ সময়ের সাথে সাথে নিজেই মিটে যায়। অবশ্য, রোগের নিয়ন্ত্রণ এবং উপসর্গগুলির তীব্রতা হ্রাস করতে নিজের যত্ন নেওয়া এবং জীবনধারার পরিবর্তন করা দরকার।
ডেঙ্গু অধ্যুষিত এলাকা থেকে ফেরার দুই সপ্তাহের মধ্যে যদি আপনার ফ্লুয়ের মতন উপসর্গ দেখা দেয় তাহলে ডাক্তারের সাথে অবশ্যই যোগাযোগ করবেন। আর আপনি যদি এমন এলাকায় থাকেন যেখানে সাধারণত ডেঙ্গু হয় তাহলে ঐ রকমের উপসর্গ হলে ডাক্তারবাবুর কাছে যাবেন।
সাহায্যকারী তত্বাবধানের সাথে ওষুধ-পত্র জ্বর কমতে সাহায্য করে। এর সাথে শরীরে প্রচুর তরল পদার্থ প্রবেশ করাতে হবে এবং বিছানায় শুয়ে থাকতে হবে। জ্বর কমাতে অ্যাসিটামিনোফেন ব্যবহার করা যেতে পারে। বেদনা-নাশক ওষুধ (যেমন অ্যাসপিরিন) এবং কর্টিকোস্টেরয়েডগুলি ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া ডেঙ্গু জ্বরে নেওয়া নিষেধ। ত্বকে ফুসকুড়ি হলে ক্যালামাইন লোশান লাগান। যারা ভাল হচ্ছেন বহির্বিভাগের মতন করে তাদের দেখভাল করা হয়।
● তরল পান করতে সক্ষম হলে ও-আর-এস (ওড়াল রিহাইড্রেশান সলিউশান) পান করুন
● ফলের রস পান করুন
● পর্যাপ্ত বিশ্রাম গ্রহণ করুন
● ক্লান্তি এবং দুর্বলতা বৃদ্ধির কারণ যে শারীরিক ক্রিয়াকলাপগুলি তা এড়িয়ে চলুন
● অন্যান্য ধরনের ডেঙ্গু ভাইরাস দ্বারা ক্ষতিকারক সংক্রমণ প্রতিরোধে কীটনাশক-লাগানো মশারীর ব্যবহার করুন
● ঘরের ভিতরে এমন কি ঘরের বাইরেও মশার রিপেলেন্ট এবং কীটপতঙ্গ-নাশকের ব্যবহার
MBBS, MD ( Nephrology ), Fcps ( Medicine )
Labaid Specialized Hospital Ltd.
FCPS (Medicine) FCW (Kidney)UK
City Hospital Ltd.
MBBS(DMC), FCPS(Medicine), MRCP(UK),
Ph.D Nephrology(London)
Popular Diagnostic Centre Ltd