এপিডিডাইমিটিস

সারাংশ

এপিডিডাইমিটিস হল এপিডিডাইমিসের ব্যথা বা প্রদাহজনক অবস্থা, যে নলটি শুক্রাশয় থেকে শুক্রাণু নিয়ে পুংজননেন্দ্রিয়ে বহন করে। এই এপিডিডাইমিসে অস্বস্তি বা ফোলাভাব দেখা যায়। এই রোগ যে কোন বয়সে হতে পারে, কিন্তু সাধারণত 14 থেকে 35 বছর বয়সের মধ্যে বেশি দেখা যায়।

উপসর্গ

● অন্ডকোষ অঞ্চলে ব্যথা
● অন্ডকোষে ফোলাভাব এবং লালচেভাব
● জ্বর এবং শরীর ঠান্ডা হয়ে যাওয়া
● মূত্রত্যাগে যন্ত্রণাবোধ

চিকিৎসা

খুব সাধারণ কারণ হল সি. ট্রাকোমেটিস বা এন. গনোরিয়ার কারণে সংক্রমণ, যা প্রায়ই ছড়িয়ে পড়ে যৌন মিলনের সময়। এপিডিডাইমিটিস আরও অন্যান্য যেসব সংক্রমণের কারণে হতে পারে তার মধ্যে মাম্পস (ভাইরাস ঘটিত সংক্রমণ) এবং টিউবারকুলোসিস (ব্যাকটেরিয়া ঘটিত সংক্রমণ) আছে। শিশুদের মধ্যে, বয়স্ক পুরুষ এবং সেইসব মানুষ যারা মলদ্বারে যৌন মিলনে লিপ্ত হয়, তাদের সাধারণত একটি ব্যাকটেরিয়া ই. কোলাইয়ের কারণে এটি হয়। কিছু ওষুধও এপিডিডাইমিটিসের কারণ। ভারী জিনিস উত্তোলনের কারণে প্রস্রাব আঁটকে গেলে এপিডিডাইমিটিস সাময়িক ভাবে হতে পারে। যদি এর চিকিৎসা না করা হয়, এরফল স্বরূপ অন্ডকোষে পুঁয জমা হয়। পুরুষদের ক্ষেত্রে এতে বন্ধ্যাত্ব সমস্যাও দেখা দিতে পারে।

এটি নির্ণয় এবং চিকিৎসার জন্য শারীরিক পরীক্ষা করা হয় কোন মাংসপিন্ড বা নরম অংশ আছে কিনা তা জানার জন্য ।মুত্র পরীক্ষা করা হয় ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ আছে কিনা জানার জন্য। অন্ডকোষ এলাকায় আল্ট্রাসাউন্ড দ্বারা পরবর্তী পরীক্ষাটি করা হয়।

অন্যান্য যেসব পরীক্ষা করা হতে পারে:
● সম্পূর্ণ রক্তপরীক্ষা
● ক্ল্যামেডিয়া এবং গনোরিয়ার জন্য রক্ত পরীক্ষা
● চিকিৎসা পদ্ধতি মূলত যুক্ত কোন ধরনের ব্যাকটেরিয়ার কারণে সংক্রমণ ঘটেছে তা চিহ্নিত করে অ্যান্টিবায়োটিক প্রয়োগ দ্বারা।

হঠাৎ যদি প্রচন্ড ব্যথা হয়, তাহলে জরুরী অবস্থায় চিকিৎসা নেওয়া উচিত এবং তাৎক্ষণিক ভাবে চিকিৎসাগত পরিষেবার প্রয়োজন পূরণ করতে হবে।

লাইফস্টাইল ম্যানেজমেন্ট

● ​যথেষ্ট পরিমাণে বিশ্রাম নিন
● অস্বস্তি থেকে মুক্তি পেতে অন্ডকোষটিকে উর্ধ্বমুখী রেখে ঘুমান
● সহ্য ক্ষমতা অনুযায়ী আক্রান্ত স্থানে বরফের ব্যাগ ব্যবহার করুন
● বেশি বেশি তরল খাবার খান
● ব্যথা উপসমকারী ওষুধ ব্যথা কমাতে সাহায্য করবে
● যৌন মিলনের সময় কন্ডোমের ব্যবহার করুন
● সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত ভারী জিনিস তোলা থেকে বিরত থাকুন
● দীর্ঘ সময় বসে থাকবেন না

বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক