বাইপোলার ডিসঅর্ডার

সারাংশ

বাইপোলার ডিসঅর্ডার একটি মানসিক স্বাস্থ্য সম্বন্ধীয় অবস্থা, যেখানে কোনও ব্যক্তির মেজাজের পরিবর্তন ঘটে চরম আনন্দ এবং বিষন্নতা যেকোন একটিতে। একে ম্যানিক ডিপ্রেসন’ও বলে, যাতে ব্যক্তিটির রোজকার জীবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। যে ধরণের মেজাজে একজন ব্যক্তির সর্বোচ্চ শক্তিস্তর লক্ষ্য করা যায়, তাকে ম্যানিয়া বলে।

উপসর্গ

● অত্যধিক আনন্দ ও ইতিবাচকতা
● উদারভাবে উপহার দেওয়া বা প্রবল উদ্দীপনা নিয়ে কেনাকাটা করা
● অবাস্তব জিনিসে বিশ্বাস
● হ্যালুসিনেশন বা অমূলক জিনিস প্রত্যক্ষ করা
● বিষন্নতা অনুভব, মনমরা এবং সবকিছুতে অনুৎসাহ

চিকিৎসা

বাইপোলার ডিসঅর্ডারের ক্ষেত্রে রোগ নির্ণয় করা কঠিন, কারণ এর কোনও শারীরিক উপসর্গ নেই এবং যেহেতু ভিন্ন ব্যক্তির মেজাজ ভিন্ন ভিন্ন প্রকারের হয়। মানসিক রোগের চিকিৎসক বিভিন্ন রকমের ক্রিয়াকলাপ ও কাজের মাধ্যমে একজন ব্যক্তির মানসিক স্বাস্থ্য সম্পূর্ণ পরীক্ষা করে দেখেন। চিকিৎসার ক্ষেত্রে রোগীর প্রাত্যহিক ভাবে লিখে রাখা মেজাজ সম্পর্কিত দিনলিপিও যথেষ্ট সাহায্য করে। 

কিছু মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কিত পরীক্ষা আছে, যার মাধ্যমে মানসিক অবস্থার উপসর্গগুলি বিচার করে বাইপোলার ডিসঅর্ডার রয়েছে কিনা বোঝা যায়। ডাক্তার অন্যান্য অসুখের সম্ভাবনা সম্বন্ধে পরিষ্কার হয়ে নেওয়ার জন্য এর সাথেই কিছু শারীরিক পরীক্ষা এবং কিছু রকমের রক্ত পরীক্ষা করেন।

বাইপোলার ডিসঅর্ডারের চিকিৎসায় মেজাজ পরিমার্জনা করার জন্য ওষুধ, থেরাপি, জীবনশৈলীতে সংশোধন প্রভৃতি ব্যবস্থা নেওয়া হয়। বিষন্নতা-দূরকারী ও মনোরোগ-দূরকারী ওষুধ দেওয়া হয়। থেরাপি হিসেবে আন্তঃব্যক্তিগত থেরাপি যেখানে প্রাত্যহিক কাজকর্মগুলি যেমন ঘুমানো, খাওয়া প্রভৃতির উপর নিয়ন্ত্রণ পাওয়ার চেষ্টা করা হয়। জ্ঞান সম্বন্ধীয় যে থেরাপি করা হয়, তাতে একজন মানসিক রোগের চিকিৎসক রোগীকে তার আচরণ নিয়ন্ত্রনের জন্য তার চিন্তাধারায় পরিবর্তন আনতে বলেন।

লাইফস্টাইল ম্যানেজমেন্ট

● নিজের কোনও প্রিয়জনের কাছ থেকে সহযোগিতা চাওয়া
● প্রাত্যহিকভাবে নির্দিষ্ট নিত্যকর্মসূচি মেনে চলা
● মেজাজ বদল যখন হয় তা বুঝে বিশেষজ্ঞের সাহায্য দ্বারা তার উপর নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করা

বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক